হাশেম খান (জন্ম: জুলাই ১, ১৯৪১) বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী। তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ২০১১ সালে হাশেম খানকে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা পদক পুরস্কার প্রদান করে।হাশেম খানের পুরো নাম মো. আবুল হাশেম খান। তাঁর জন্ম ১৯৪১ সালের ১ জুলাই চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেকদি গ্রামে। বাবার নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। তিনি ছিলেন তৎকালীন কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মা নূরেন্নেসা খানম, গৃহিনী। বাবা-মায়ের ১৪টি সন্তানের মধ্যে হাশেম খান ৬ষ্ঠ সন্তান।[২] তার স্ত্রী পারভীন হাশেম, কন্যা কনক খান রিয়াজ, পুত্র শান্তনু খান।হাশেম খান ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। [৪] এছাড়া ১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান গ্রন্থ অলংকরণের প্রধান শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের সমকালীন শিল্পকলার দায়িত্ব নিয়ে কোলকাতা, দিল্লী ও বোম্বাইয়ে প্রদর্শনী করেছেন। আন্তর্জাতিক শিশুবর্ষ ১৯৭৯ উপলক্ষে জাপানে শিশু পুস্তক শিল্পীদের সম্মেলনে, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৮৯ সালে টোকিও, চেকেস্লোভাকিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিতব্য 'স্বাধীনতা স্তম্ভ'-এর জুরি বোর্ড ও বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য (১৯৯৭-২০০০) হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন জাতীয় চিত্রশালা, জাতীয় নাট্যশালা এবং জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের বাস্তবায়নের স্টিয়ারিং কমিটির (৩ সদস্যের) বিশেষজ্ঞ সদস্য। ঢাকা নগর জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় তাঁর রয়েছে
About More.. 