মাহবুব আজাদ দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি ঋদ্ধ একজন লেখক। পেশাগত জীবনে অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতা শেষে বাংলা একাডেমীতে এসে স্থির হন। বর্তমান বাংলা একাডেমীর উপপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করলেও সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক একটুও ছিন্ন করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি, কবিতা চর্চা, সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও চলচ্চিত্র প্রকাশনাসহ একাধিক সৃজনশীল মাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ‘ক্যাম্পাস ককাস’ নামে জনপ্রিয় জার্নাল এবং ১৯৭৬-’৭৭ সালে ‘পদাতিক’, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনার জন্য ‘মুক্তধারা’ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তাঁর সম্পাদিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—‘সিনেলোক’ (চলচ্চিত্র বিষয়ক জার্নাল), ‘স্মৃতিসত্তায় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী’। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে কথাশিল্পী ‘সুচরিত চৌধুরী’ ও বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ‘খান আতাউর রহমান’-এর জীবনী। এছাড়া বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত ‘শতবর্ষে জসীমউদ্‌দীন’ স্মারক গ্রন্থের এবং সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান ‘ধানশালিকের দেশ’-এর নির্বাহী সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি শিশু-কিশোরদের জন্যেও লিখতে উৎসাহী। ‘জয়তী যখন মুক্তিযোদ্ধার বন্ধু ছিল’ কিশোরদের জন্য তাঁর প্রথম প্রয়াস। ইতিমধ্যে শিশু একাডেমী প্রকাশ করেছে তাঁর লেখা ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ’-এর জীবনী।মাহবুব আজাদ স্কুল জীবনের শেষ পর্ব অতিক্রম করার মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নিঃসন্দেহে এটি তাঁর আর একটি গৌরবোজ্জ্বল পরিচয়। সে সময় ভারতের সীমান্ত পার হয়ে দেমাগ্রি সেনানীবাসে প্রশিক্ষণ শেষে ১নং সেক্টরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এক দুর্দান্ত কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সে সময় যা বেশ বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল। তাঁর জন্ম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া About More..